কলকাতা 

Anish Khan Death Mystery : আনিস খানের হত্যাকারীদের শেষ দেখে ছাড়ব পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকীকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জোড়া জনপ্রতিনিধির খুনের নেপথ্যে কারা? খুঁজে বের করতে তৎপর পুলিশ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : আনিস খানের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে যথাযথ শাস্তি দেয়া হবে বলে আজ সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকীীকে এ কথা বলেছেন। আজ নবান্নে পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকী আনিস খানের মৃত্যু রহস্যের তদন্ত এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকী বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এর শেষ দেখে আমি ছাড়বো কাউকে রেয়াত করা হবে না।

আজ সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে নবান্নে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্র সচিব , রাজ্য পুলিশের ডিজিপি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। এদিনের বৈঠকে মূলত দুই নবনির্বাচিত কাউন্সিলর কে গুলি করে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় খুন করা হয়েছে তা নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হয়। পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া হাতে খুনিদের শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা চলে বলে সূত্রের খবর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা, ডিআইজি-সিআইডির কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। অশান্তির ঘটনায় রং না দেখে পদক্ষেপ নিতে হবে’।

এরপর প্রশাসনিক বৈঠকের পরে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদার সঙ্গে বৈঠকও হয়। সেখানে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শেষ দেখে ছাড়ব, কেউ ছাড়া পাবে না, সবাই শাস্তি পাবে। এমনই আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি কাসেম সিদ্দিকির।

এদিকে, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি মৃতের পরিবারের। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রীর অভিযোগ, পুরভোটে জয়ের পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য পুলিশকে দিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। খুনের ঘটনায় মৃতের দাদা ও ভাইপোকে আটক করেছে পুলিশ। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু এবার তৃণমূলের টিকিটে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু পরাজিত হন। ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলেছে আটক তৃণমূল প্রার্থীর পরিবার। খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ নাকি, পারিবারিক বিবাদ, খতিয়ে দেখছে ঝালদা থানার পুলিশ।

রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে এই শ্যুটআউট ঘটে। স্থানীয় পার্কের কাজ দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সেখানকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী অনুপম দত্ত। সেই সময় দু’টি মোটর সাইকেলে চেপে এসে, তিন-চার জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন অনুপম। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নিজের ৮ নম্বর ওয়ার্ডেরই একটি পার্কের কাজের দেখভাল করতে গিয়েছিলেন অনুপম। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিশ। কিন্তু সেখানে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

এই দুই জনপ্রিয় নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধির মৃত্যু নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে বিরোধী দল বিজেপি দুই নবনির্বাচিত কাউন্সিলর এর মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। জনপ্রতিনিধির নিরাপত্তা যেখানে বিঘ্নিত সেখানে সাধারণ মানুষের পরিস্থিতি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নাগরিক মহলে। দুই কাউন্সিলর মৃত্যু নিয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে মমতা সরকার। আর সেই কারণেই আজ সোমবার জরুরিভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বৈঠক স্থল থেকে টেলিফোনের সিআইডি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গেছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ